Category Archives: Uncategorized

Noor e paygam নূর এ পয়গাম l

লেখা আহ্বান

নূর এ পয়গাম

প্রিয় সাহিত্য সাথী,
অত্যন্ত আনন্দের সাথে আপনাকে জানাচ্ছি যে, শাহ সুফি সাইয়্যিদ মোহাঃ একরামুল হক (রহঃ) আলাইহের ৭৮ তম একরামিয়া ইসালে সাওয়াব উপলক্ষে হুজুর একরামুল হক (রহঃ) এর জীবন দর্শনকে পাথেয় করে ” নূর এ পয়গাম ” নামে পত্রিকা প্রকাশ হবে ( চতুর্থ বর্ষ, বার্ষিক সংখ্যা ) । তার প্রস্তুতি চলছে ।
আপনিও শরিক হন এই মহান কর্মযজ্ঞে । আপনাকে পাশে পেলেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সর্বার্থে সফল হবে এই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ।
অতএব পত্রিকার জন্য আপনার মূল্যবান পরামর্শের সঙ্গে নিম্নলিখিত যে কোন একটি বিষয়ে রচনা আগামী ৩১/১২/২০২১ (ইং) তারিখের মধ্যে আমাদের ইমেইল আইডিতে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হল ।

বিষয় বস্তু :
১) সুফিবাদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব ।
২) ইসলাম ও মানবিকতা ।
৩) উত্তরের মুসলমান জনসমাজ ।
৪) ইসলাম ও বর্তমান সমাজ।
৫) বঙ্গে সুফির প্রভাব।
৬) গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ইসলাম ।
৭) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান একরামিয়া ইসালে সাওয়াব ।
৮) একরামিয়া ইসালে সওয়াব ও আমাদের জীবনে তার প্রভাব ।
৯) সুফিবাদের আলোকে হুজুর সাহেবে ।

**বি.দ্রঃ **
১) শব্দ সংখ্যা সীমাহীন ।
২) প্রেরিত লেখা সম্পাদক মন্ডলীর (আলোচনা সাপেক্ষে ) সম্পাদনার অধিকার থাকবে ।
৩) লেখার সঙ্গে একটি সচল ফোন নং এবং হোয়াটসঅ্যাপ নং টাইপ করে পাঠাবেন ।
৪) মেল ছাড়া লেখা অন্য কোন ভাবে গৃহীত হবে না ।
৫) লেখা PDF ফাইলে অথবা মেল বডিতে টাইপ করে পাঠান ।
৬) লেখা পাঠানোর পর সেই লেখা অন্যত্র পাঠাবেন না ।
৭)গত সংখ্যায় যাদের লেখা ছিল তাঁরা এই সংখ্যায় লেখা পাঠাবেন না।
৮) মেইল ঠিকানা : [email protected]
৯) সৌজন্য কপি দেওয়া হবে।

**শুভেচ্ছান্তে **
যুগ্ম সম্পাদক – “নূর এ পয়গাম”
হলদিবাড়ি, কোচবিহার

**পশ্চিমবঙ্গ, ভারত **

পত্রিকা প্রকাশ হবে :১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০২২

যোগাযোগ :
১. এরশাদ – 8972968762
২. নূরনবি – 8116178950
৩. আজাদ – 90023 33580
৪. রাজা – 8348295753

আরতুগ্রুলErtuğrulارطغرلগাজী

আরতুগ্রুল (উসমানীয় তুর্কি: ارطغرل; ১১৯১/১১৯৮, আহলাত – ১২৮১, সুগুত) যিনি আরতুগ্রুল গাজি নামে পরিচিত ছিলেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উসমানের পিতা। তিনি ওঘুজ তুর্কিদেরকায়ি গোত্রের নেতা ছিলেন। বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে রোমের সেলজুকদের সাহায্যার্থে আরতুগ্রুল মার্ভ‌ থেকে আনাতুলিয়ায় আসেন।[২] এ সময় তিনি বেশ কিছু ধারাবাহিক ঘটনার মাধ্যমে তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্য সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দেন। তার ছেলে প্রথম উসমান এবং ভবিষ্যৎ বংশধরদের মত তাকেও গাজী উপাধিতে সম্বোধন করা হয়[৩], যা দ্বারা ইসলামের জন্য লড়াই করা বীর যোদ্ধাদের বোঝায়।

ertugrul
ertugrul halima

যেমন ছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)।

১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।
২/ তিনি কম হাসতেন।
৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো।
৪/ তিনি অট্টহাসি হাসতেন না।
৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না।
৬/ তিনি দৈনিক শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।
৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না।
৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি।
৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন।
১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন।
১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন।
১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন।
১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন।
১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরণ করতেন।
১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।
১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন।
১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃণা করতেন।
১৮/ তিনি উপহার গ্রহণ করতেন।
১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন।
২০/ তিনি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন।
২১/ তিনি আল্লাহকে সব সময় ভয় করতেন
২২/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন।
২৩/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না।
২৪/ বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না।
২৫/ কথা বলার সময় সুস্পষ্টভাবে বলতেন যাতে শ্রবণকারী সহজেই বুঝে নিতে পারে।
২৬/ কথা, কাজ ও লেন-দেনে কঠোরতা অবলম্বন করতেন না।
২৭/ নম্রতাকে পছন্দ করতেন।
২৮/ তাঁর নিকট আগত ব্যক্তিদের অবহেলা করতেন না।
২৯/ কারো সাথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করতেন না।
৩০/ শরীয়তবিরোধী কথা হলে তা থেকে বিরত থাকতেন বা সেখান থেকে উঠে যেতেন।
৩১/ আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি নিয়ামতকে কদর করতেন।
৩২/ খাদ্যদ্রব্যের দোষ ধরতেন না। মন চাইলে খেতেন না হয় বাদ দিতেন।
৩৩/ ক্ষমাকে পছন্দ করতেন।
৩৪/ সর্বদা ধৈর্য্য ধারণ করতেন।
রাসুল (সা.) এর গুণাবলি বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নবী (সা.) এর চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমিন ।

অজুর বরকত ও আমল।

অজুর মধ্যে আল্লাহ অনেক কল্যাণ ও বরকত রেখেছেন। হাদিসে এসেছে, ❛বেহেশতের চাবি হচ্ছে নামাজ আর নামাজের চাবি হলো অজু।❜
_(মুসনাদে আহমাদ : ৩/৩৪০)।
অজু স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ❛যে ব্যক্তি অজু থাকা সত্ত্বেও নতুন অজু করে সে ১০টি নেকি লাভ করে।❜
_(অজুর ফাজায়েল ২৫৩)।
অজুর বরকতে বান্দার অতীত জীবনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। হজরত আমর ইবনে আবাসা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছেঃ তিনি বলেন, আমি একদিন প্রশ্ন করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! অজুর ফায়দা কী? তিনি বলেন, ❛যখন তুমি অজু করবে ও দুই হাতের কবজি পরিষ্কার করে ধৌত করবে, নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করবে, মুখ ও হস্তদ্বয় কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, মাথা মাসেহ করবে ও উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে, তখন তুমি যেন তোমার গুনাহসমূহ আঙুলের অগ্রভাগ ও নখ দিয়ে বের করে পরিষ্কার করে দিলে। এর পর যখন তুমি তোমার চেহারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জমিনে রাখবে, তখন তুমি এমনভাবে গুনাহ থেকে নিষ্পাপ হয়ে যাবে, যেদিন তোমার মা তোমাকে জন্ম দিয়েছিল।❜
__(নাসায়ি ১৪৭ ) ।
অজুকারী ব্যক্তি হাশরের ময়দানে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত হবেন। হাশরের ময়দানে উপস্থিত সবাই অজুকারী ব্যক্তির দিকে বারবার তাকাতে থাকবে। অজুকারী ব্যক্তির হাত-পা ও মুখমণ্ডল চমকাতে থাকবে। হজরত নুয়াইম মুজমির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু হোরায়রা (রা.)- এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তিনি অজু করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ❛নিশ্চয় কেয়ামত দিবসে আমার উম্মতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, অজুর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার ইচ্ছা রাখে সে যেন তা করে নেয়।❜
__(বুখারি : ১৩৮)।
অজুর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিশেষ একটি আমল আছে। এর মাধ্যমে বান্দা তার মর্তবা বৃদ্ধি করতে পারে। ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান (রা.) একদিন অজুর পানি চাইলেন। অজু শুরু করে তিনবার সুন্দর করে দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ধুলেন। তারপর তিনবার কুলি করলেন। নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। এর পর তিনবার চেহারা ধুলেন। দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ভালোভাবে তিনবার ধুলেন। তারপর মাথা মাসেহ করলেন এবং টাখনু পর্যন্ত পা তিনবার ধৌত করলেন। এর পর বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ❛যে ব্যক্তি এভাবে সুন্দর করে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোনো খেয়াল করবে না, তার পেছনের সব সগিরা গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।❜
__(বুখারি : ১৫৯; মুসলিম : ২২৬)।